Posts

Showing posts from April, 2020

ঘরোয়া সিরিজ – “সুরভোলা রবীন্দ্রনাথ”

এই সিরিজের সবগুলো গল্পই ঘরোয়া গ্রন্হ থেকে নেওয়া। গ্রন্হটি নিয়ে অল্পবিস্তর কথা Book Review – ঘরোয়া   পর্বটিতে লেখা আছে। পুরো বইটি জুড়ে আমরা নানাভাবে রবীন্দ্রনাথকে আবিষ্কার করতে পরি। তার মধ্যে একটি তাঁর সুরভোলা স্বভাব। গুনীজনেরা নানাসময় তাদের স্মৃতিচারণায় গুরুদেবের এই সুর মনে রাখতে পারার বিষয়টি বলেছেন। তিনি তাঁর রচিত গানে সুরারোপ করেই কারো না কারো গলায় তুলে দিতেন। যদিও আজকের এই গল্পটি অনেক কাল আগের কথা। তখন যৌবনে রবীন্দ্রনাথ। জোড়াসাঁকোর বাড়ীতেই তাঁর বসত। তখনকার কালে রবীন্দ্রনাথের সুর ধরা থাকত অবন ঠাকুরের এসরাজে। অবন ঠাকুর বলছেন, “দিনুরা [দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর] তখন খুব ছোটো – রবিকাকা গানে নতুন সুর দিলে আমারই ডাক পড়ত”। সে এক দিনের কথা। গুরুদেব নতুন গান লিখেছেন। তৎক্ষনাৎ সেই গানের সুরারোপও সম্পন্ন। অবন ঠাকুরও সেথায় গানের সাথে যেমন বাজান তেমনি বাজিয়ে যাচ্ছেন। তখনকার সময়টাই এমন ছিল যে, দুই মনভোলা মানুষ সুরের দিশায় পাল তুলেছে অথচ খেয়ালই হয়নি যে, সুর মনে রাখতে হবে। পরদিন গুরুদেব যখন সেই গানের সুরটি বাজাতে বল্লেন, বাস্‌, সব শেষ। অবন ঠাকুর তো বেমালুম ভুলে বসে আছেন। অবন ঠাকুর...

Book Review - ঘরোয়া

ঘরোয়া অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর শ্রীরানী চন্দ ঘরোয়া সিরিজ: সুরভোলা রবীন্দ্রনাথ ঘরোয়া সিরিজ: রাখীবন্ধন উৎসব ও রবীন্দ্রনাথ ঘরোয়া সিরিজ: শুচিবায়ী বাঙালী এখনো যদি না পড়া হয়ে থাকে তাহলে এখনই পড়ে ফেলা উচিৎ। যদি বাড়িয়ে না বলা হয়ে যায় তাহলে সকল বাঙালী মাত্রেই উচিৎ এক নিশ্বাসে বইটি পড়ে ফেলা। যদিও শুরু করলে শেষ না করা পর্যন্ত কেউ উঠতে পারবেন না বলেই আমার বিশ্বাস। এত স্বতস্ফূর্তভাবে গল্পগুলো উপস্হাপিত হয়েছে মনে হয় যেন ছোটোবেলার ‘ঠাকুরমার ঝুলি’ পড়ছি। অসাধারণ একটি বই। বইটি আসলে মূলত অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিকথা । তিনি জোড়াসাঁকোর বাড়ীতে বসে রানী চন্দকে তার স্মৃতির পাতা উল্টে গল্প বলেছেন আর রানী চন্দ শান্তিনিকেতনে ফিরে গুরুদেবকে শোনাবেন বলে সব লিখে রেখেছেন । গুরুদেব তখন খুবই প্রৌঢ়। প্রতিদিন একটি দুটি গল্প তিনি পড়তেন আর মহা খুশি হতেন তিনি যৌবনের কর্মী রবীন্দ্রনাথকে দেখে। গল্পগুলো পড়ে রবীন্দ্রনাথের ঠাকুরর একটি উক্তি রাণী চন্দের ভূমিকায় পাওয়া যায়। গুরুদেব বলছেন, “এ অতি সুন্দর হয়েছে। অবন কথা কইছে, আমি যেন শুনতে পাচ্ছি। কথার একটানা স্রোত বয়ে চলেছে – এতে হাত দেবার জায়গা নেই, যেমন আছে তেমনি...